বালির সুক্ষ্মতা গুণাঙ্ক বা (FM) নির্ণয়
#বালির সুক্ষ্মতা গুণাঙ্ক বা (FM) নির্ণয় ==========================
সুক্ষ্মতা গুণাঙ্ক বা ফাইননেস মডুলাস(F.M) বালির আকার সম্পর্কে
ধারণা প্রদান করে।
বালি যত মিহি হয় তার সুক্ষ্মতা গুণাঙ্ক তত কম হয়, এবং যত স্থুল হয় সুক্ষ্মতা গুণাঙ্ক তত বেশি হয়।
সুক্ষ্মতা গুণাঙ্ক একটি ইমপেরিক্যাল সুত্রের সাহায্যে নির্ণয় করা হয়।
ব্রিটিশ প্রমাণচালুনী ৪নং, ৮নং, ১৬নং, ৩০নং, ৫০নং,১০০নং এ অবশেষের পুঞ্জিভুত শতকরা হারের সমষ্টিকে ১০০ দিয়ে ভাগ করলে যে সংখ্যা পাওয়া যায় তাকে বালির সুক্ষ্মতা গুনাঙ্ক বা
ফাইননেস মডুলাস বলে।
ফাইননেস মডুলাস বলে।
সাধারণত দেখা যায় মিহি বালির সুক্ষ্মতা গুনাঙ্ক ১.২-১.৫, মধ্যম মানের স্থুল বালির সুক্ষ্মতা গুণাঙ্ক ১.৫-২.০০ এবং মোটা বালির সুক্ষ্মতা গুণাঙ্ক ২ এর অধিক হয়ে থাকে। নির্মাণের স্থুলকাজে ব্যবহৃত বালির
সুক্ষ্মতা গুণাঙ্ক ২-৩ হওয়াউচিত।
সুক্ষ্মতা গুণাঙ্ক ২-৩ হওয়াউচিত।
→বালির সুক্ষ্মতা গুণাঙ্ক বা (F.M)নির্ণয়ের পদ্ধতি:
প্রথমে ২০০ গ্রাম বালি মেপে
চালুনিতে ভরেছিলাম। তারপর ভালভাবে ঝাঁকুনি দেওয়ার পর নিম্নক্তো হারে প্রত্যেক চালুনিতে বালি পেয়েছিলাম,
চালুনিতে ভরেছিলাম। তারপর ভালভাবে ঝাঁকুনি দেওয়ার পর নিম্নক্তো হারে প্রত্যেক চালুনিতে বালি পেয়েছিলাম,
প্রথমে ২০০ গ্রাম বালি মেপে চালুনিতে ভরেছিলাম। তারপর ভালভাবে ঝাঁকুনি দেওয়ার পর ৪ নং চালুনিতে ০.৪ গ্রাম এবং ৮ নং, ১৬ নং, ৩০ নং, ৫০ নং, ১০০ নং চালুনিতে যথাক্রমে, ২.৩, ২.৯, ৮৬.১, ৯৮.৯ এবং ৯ গ্রাম অবশেষ পেয়েছিলাম যাঅবশেষের ঘরে দেয়া আছে।
চিত্রে দেখতে পারছি যে বালির F.M=২.৪৫। (২৪৫.৩/১০০)
চিত্রে দেখতে পারছি যে বালির F.M=২.৪৫। (২৪৫.৩/১০০)
→কিন্তু কিভাবে বের করলাম তা এবার দেখবোঃ
এখন পুঞ্জিভুত অবশেষ বের করার
নিয়ম:
নিয়ম:
আমরা ৪ নং চালুনিতে অবশেষ পেয়েছিলাম ০.৪ গ্রাম। তাই ৪ নং
চালুনির পুঞ্জিভুত অবশেষ ০.৪ গ্রাম। আবার ৮ নং চালুনিতে অবশেষ পেয়েছিলাম ২.৩ গ্রাম, তাই ৮ নং চালুনির পুঞ্জিভুত অবশেষ হচ্ছে
(২.৩+০.৪)=২.৭ গ্রাম।
চালুনির পুঞ্জিভুত অবশেষ ০.৪ গ্রাম। আবার ৮ নং চালুনিতে অবশেষ পেয়েছিলাম ২.৩ গ্রাম, তাই ৮ নং চালুনির পুঞ্জিভুত অবশেষ হচ্ছে
(২.৩+০.৪)=২.৭ গ্রাম।
অর্থাৎ ৮ নং চালুনির অবশেষ+৪ নং এর পুঞ্জিভুতঅবশেষ।
আবার ১৬ নং চালুনির পুঞ্জিভুত
অবশেষ (২.৭+২.৯)=৫.৬ গ্রাম। অর্থাৎ ১৬ নং চালুনির অবশেষ+৮ নং এর
পুঞ্জিভুত অবশেষ।
এভাবে ৩০,৫০,১০০ নং চালুনির
পুঞ্জিভুত অবশেষ বের করেছিলাম।
অবশেষ (২.৭+২.৯)=৫.৬ গ্রাম। অর্থাৎ ১৬ নং চালুনির অবশেষ+৮ নং এর
পুঞ্জিভুত অবশেষ।
এভাবে ৩০,৫০,১০০ নং চালুনির
পুঞ্জিভুত অবশেষ বের করেছিলাম।
→এখন শতকরা পুঞ্জিভুত অবশেষ বের করার নিয়ম:
৪ নং চালুনির পুঞ্জিভুত অবশেষ কে ১০০ দ্বারা গুন করে ২০০ দ্বারা ভাগ করে শতকরা পুঞ্জিভুত অবশেষ বের করেছিলাম। যেমন,
(০.৪X১০০)/২০০=০.২ পেয়েছিলাম।
১০০ দ্বারা গুনকরলাম শতকরা করার
জন্য এবং ২০০ হচ্ছে ২০০ গ্রাম বালির F.M আমরা নির্ণয় করতেছি। আপনারা যদি ৫০০ গ্রাম বালির F.M নির্ণয় করেন তাহলে ৫০০ দ্বারা ভাগ করবেন। ৮ নং চালুনির পুঞ্জিভুত অবশেষ কে ১০০ দ্বারা গুন করে ২০০ দ্বারা ভাগ করে শতকরা পুঞ্জিভুত অবশেষ বের করেছিলাম। যেমন,
(২.৭X১০০)/২০০=১.৩৫ পেয়েছিলাম।
এভাবে ১৬,৩০,৫০,১০০ নং চালুনির
শতকরা পুঞ্জিভুত অবশেষ বের
করেছিলাম।
(০.৪X১০০)/২০০=০.২ পেয়েছিলাম।
১০০ দ্বারা গুনকরলাম শতকরা করার
জন্য এবং ২০০ হচ্ছে ২০০ গ্রাম বালির F.M আমরা নির্ণয় করতেছি। আপনারা যদি ৫০০ গ্রাম বালির F.M নির্ণয় করেন তাহলে ৫০০ দ্বারা ভাগ করবেন। ৮ নং চালুনির পুঞ্জিভুত অবশেষ কে ১০০ দ্বারা গুন করে ২০০ দ্বারা ভাগ করে শতকরা পুঞ্জিভুত অবশেষ বের করেছিলাম। যেমন,
(২.৭X১০০)/২০০=১.৩৫ পেয়েছিলাম।
এভাবে ১৬,৩০,৫০,১০০ নং চালুনির
শতকরা পুঞ্জিভুত অবশেষ বের
করেছিলাম।
→বালির F.M নির্ণয়ের সুত্র:
F.M= মোট শতকরা পুঞ্জিভুত অবশেষ/১০০
=২৪৫.৩/১০০
=২.৪৫ F.M
=২৪৫.৩/১০০
=২.৪৫ F.M
Comments
Post a Comment